নিহত আব্দুল গনি (৩০) ওই এলাকার স্থানীয় কৃষক আবু তাহেরের ছেলে।
নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার ভোরে গনি ও চার কৃষক সীমান্তের কাছে একটি ভুট্টা খেতে সেচ দিতে গিয়েছিলেন। এসময় তারা সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে পৌঁছালে ভারতের রাঙ্গিয়ারপোতা ক্যাম্পের ৮১ নং বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া দেয়। বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে অন্য তিনজন গ্রামে ঢুকে পড়লেও ধরা পড়ে যায় আব্দুল গনি। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে টেনে হেচড়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। পরে গণিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত অবস্থায় সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফেলে রেখে যায়।
খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, পুলিশ পৌঁছানোর আগেই নিহতের স্বজনরা গনিকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেকুজ্জামান জানান, তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে একটি চিঠি দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সন্ধ্যার আগে এটি পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।