মামলা দায়েরের প্রায় দুই মাস পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ইলিয়াস হোসেন জোমাদ্দার (৪৮) জেলার শরণখোলা উপজেলার খোন্তকাটা রশিদিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসার সুপার ও উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের আব্দুল গফ্ফারের ছেলে। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে ওই মাদরাসায় চাকরি করে আসছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী মাদরাসা সুপারের কাছে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করতো। গত ৮ আগস্ট সকালে কোরআন শিক্ষা শেষে সুপার ইলিয়াস হোসেন মেয়েটিকে ডেকে লাইব্রেরিতে নিয়ে যান। সেখানে দরজা-জানালা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন। মেয়েটি বাড়িতে এসে ঘটনা তার মাকে জানায়। ঘটনা জানাজানি হলে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে ওই সুপার। নির্যাতনের ১১ দিন পর ১৯ আগস্ট ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মাদারাসা সুপার ইলিয়াস হোসেন জোমাদ্দারকে আসামি করে শরণখোলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে ধর্ষক ইলিয়াস হোসেন পালিয়ে ছিলেন।
বাগেরহাট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণের ওই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান তারা। এরপর থেকে ধর্ষক ওই মাদরাস সুপারকে ধরতে তাদের অভিযান চলতে থাকে। বৃহস্পতিবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাটাখালী এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করা হয়।