রবিবার বিকালে জেলার মোংলা উপজেলার দিগরাজ বালুরমাঠ এলাকা থেকে ২২ কেজি হরিণের মাংসসহ হরিণ শিকারিচক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক কামাল শিকদার (৩৯) বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার দিগরাজ বালুরমাঠ এলাকার জামাল শিকদারের ছেলে।
এ নিয়ে ১৯ দিনের ব্যবধানে বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় আলাদা অভিযান চালিয়ে ১৩৩ কেজি হরিণের মাংস, ১৯টি হরিণের চামড়া ও একটি বাঘের চামড়া উদ্ধার করেছে পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড এবং সুন্দরবন বিভাগ।
আরও পড়ুন: ৪২ কেজি হরিণের মাংসসহ বাগেরহাটে বাবা-ছেলে আটক
এসময় শিকারি ও পাচারকারি চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করা হয়।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ রবিবার বিকাল ৪টার দিকে বালুরমাঠ এলাকার কামাল শিকদারের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় ওই বাড়ি তল্লাশি করে ২২ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করে। আটক করা হয় সুন্দরবনের হরিণ শিকারিচক্রের সদস্য কামাল শিকদারকে।
ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী আরও জানান, সুন্দরবন থেকে শিকার করা হরিণ জবাই করে মাংস তৈরি করে নিজ বাড়িতে রেখে বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিল কামাল। এর আগেও ওই বাড়িতে হরিণের মাংস বিক্রির খবর ছিল পুলিশের কাছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২২ কেজি হরিণের মাংসসহ যুবক আটক
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি রামপাল উপজেলার বগুরা নদীর চর থেকে ৪২ কেজি হরিণের মাসংসহ শিকারি চক্রের দুইজনকে, ২৯ জানুয়ারি মোংলা থেকে ৪৭ কেজি হরিণের মাংস এবং একটি মাথাসহ তিনজন হরিণ শিকারি ও পাচারকারিকে, ৩০ জানুয়ারি শরণখোলা থেকে ২২ কেজি হরিণের মাংসসহ এক শিকারিকে, ২৩ জানুয়ারি শরণখোলা থেকে ১৯টি হরিণের চামড়াসহ হরিণ শিকারি ও পাচারকারি সিন্ডিকেটের দুইজনকে আটক করা হয়।
এছাড়া, ১৯ জানুয়ারি শরণখোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি বাঘের চামড়াসহ বাঘ শিকারি চক্রের সদস্য গাউস ফকিরকে আটক করা হয়।
বন বিভাগরে তথ্য মতে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ছয় হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থলভাগের পরিমাণ চার হাজার ১৪৩ বর্গ কিলোমিটার এবং জলভাগের পরিমাণ এক হাজার ৮৭৩ বর্গ কিলোমিটার। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন। সর্বশেষ জরিপ অনুসারে সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘ রয়েছে। আর হরিণের সংখ্যা দেড় লাখ।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের মাংস ও মাথাসহ আটক ৩