উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন ধাসেরভারানি এলাকা থেকে রবিবার রাতে তাকে আটক করা হয়।
আটক মো. মিলন মোড়ল (৩৫) যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার উত্তর দেওয়ালি গ্রামের আব্দুল লথিব মোড়লের ছেলে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের মাংস ও মাথাসহ আটক ৩
এনিয়ে দুই সপ্তাহে পৃথক অভিযানে ৬৯ কেজি হরিণের মাংস, ১৯টি হরিণের চামড়া এবং একটি বাঘের চামড়া উদ্ধার করা হলো। এসময়ে বাঘ ও হরিণ শিকারি চক্রের সাত সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বন বিভাগের সদস্যরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুন্দরবন সংলগ্ন ধাসেরভারানি এলাকা থেকে সুন্দরবনে হরিণ শিকারি চক্রের সদস্য মো. মিলন মোড়লকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ২২ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় হরিণের মাংসসহ আটক ৩
তিনি জানান, মিলন মোড়ল অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করে চিত্রা হরিণ শিকার করার পর জবাই করে। এরপর মাংস নিয়ে লোকালয়ে ফেরে। শিকারি চক্রের অপর সদস্যকে ধরতে বন বিভাগ চেষ্টা চালাচ্ছে। আটক ওই হরিণ শিকারির বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার তাকে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঘ আতঙ্ক শেষে পঞ্চগড়ে বনবিড়াল আটক
এর আগে গত শনিবার রাতে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার দিগরাজ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৭ কেজি হরিণের মাংস ও একটি মাথা উদ্ধার করে। এ সময় হরিণ শিকারি ও পাচারকারি তিনজনকে আটক করে কোস্টগার্ড। উপজেলার দিগরাজ বাজার এলাকা থেকে শনিবার রাতে তাদের আটক করে কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের সদস্যরা। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাদেরকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের ১৯টি চামড়াসহ ২ পাচারকারি আটক
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাফিন মহামুদ জানান, আটক দুজন সুন্দরবনের হরিণ শিকার ও চামড়া পাচারকারি সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। তারা সিন্ডিকের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করে বন্যপ্রাণী শিকার করার পর তার চামড়া বিক্রি করে আসছে।
এর আগে ২৩ জানুয়ারি ভোরে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ শরণখোলা উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯টি হরিণের চামড়া উদ্ধার করে। এ সময় হরিণ শিকারি ও পাচারকারি সিন্ডিকেটের দুজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাঘের চামড়াসহ ‘শিকারি’ আটক
এছাড়া ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সুন্দরবন বিভাগ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে শরণখোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাঘের চামড়াসহ বাঘ শিকারি চক্রের সদস্য গাউস ফকিরকে আটক করে।