বাগেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলে ঘন কুয়াশা পড়েছে। সড়ক-নদীপথসহ সর্বত্রই যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা। কুয়াশার কারণে কাছের মানুষ ও যানবাহন দেখা যায়নি বেলা হওয়া পর্যন্ত।
যানবাহন চলছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। দূরপাল্লার যানবাহন গন্তব্যে বিলম্বে পৌঁছাচ্ছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে যারা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাইরে বের হয়েছেন তাদেরকে নানা দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
এদিন সকাল ১০টার দিকেও কুয়াশা দেখা গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে ইউএনবির বাগেরহাট প্রতিনিধি এসব চিত্র দেখতে পান।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ঘন কুয়াশায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চলতে শুরু করেছে ফেরি
বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ বলছেন, বাগেরহাটে এর আগে তারা এত কুয়াশা দেখেননি। সকাল ১০টার দিকেও কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা রয়েছে। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। কাছের মানুষ এবং যানবাহন দেখতে পারছেন না তারা। সড়কে যানবাহন চলাচল অনেক কম এবং হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে চলতে হয়েছে যানবাহনগুলোকে। আর নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বেশি।
এদিকে কৃষকরা ঘন কুয়াশার কারণে তাদের বোরো ধানের বীজতলা এবং আলুসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
আরও পড়ুন: নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, ঘন কুয়াশা এইভাবে কয়েকদিন পড়তে থাকলে বোরো ধানের বীজতলা লাল হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। একইসঙ্গে আলুর খেতে পোকার আক্রমণ হতে পারে। এক্ষেত্রে চাষিদেরকে নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর-রশীদ বলেন, রবিবার মধ্যরাত থেকে ঘন ও মাঝারি কুয়াশা পড়েছে এই অঞ্চলে। সোমবার সকালেও কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা ছিল বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা।
তিনি আরও বলেন, কুয়াশার কারণে ১০০ মিটার বা তার কাছের মানুষ এবং সড়কে চলাচলকারী যানবাহন দেখা যাচ্ছিল না। গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রের্কড করা হয়েছে।
মঙ্গলবারও এমন কুয়াশা পড়তে পারে বলে এই কর্মকর্তা জানান।