শুক্রবার মধ্যরাতে ওই গ্রামের বিএনপি নেতা মুন্সি আবুল কাশেমের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
এসময় নগদ ৪০ হাজার টাকা, তিনটি মোটরসাইকেল ও জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের ব্রিজপাড়ার আ. হালিম (৩৫), ইছাহক আলী (৩৪), আল-আমিন (৩৫), জামাল হোসেন (৩২), বাজারপাড়ার মুরাদ হোসেন (৪২), ওলিয়ার রহমান (৪০), নারায়রপুর গ্রামের লিটন (৩২), সোহাগ (২৮), জাহিদ (৩৮), দৌলৎগঞ্জ গ্রামের মানিক (৩০), প্রতাবপুর গ্রামের আলফাজ (৪০), পুরাতন লক্ষ্মীপুর গ্রামের আ. মান্নান (৪২) ও মহানগর উত্তর পাড়ার মিল্টন ড্রাইভার।
চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবু রাসেলের ভাষ্য, বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের বাড়ির গরুর গোয়াল ঘর থেকে ওই ১৩ জুয়ারিকে আটক করা হয়। তবে মূল হোতা বিএনপি নেতা মুন্সি আবুল কাশেমকে আটক করা যায়নি। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়ার ভাষ্য, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবননগর থানা পুলিশের বেশ কয়েকটি দল শুক্রবার রাতে উপজেলার রঘুনন্দপুর গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় ১৩ জুয়ারিকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা, ৩টি মোটরসাইকেল ও জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। রাতেই এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক আব্দুর গাফ্ফার জানান, এ জুয়া চক্রের মূল হোতা বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুন্সি আবুল কাশেম। অভিযানের সময় তিনি কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তবে মামলায় তাকেও আসামি করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার দুপুরে আটক ১৩ জুয়ারিকে আদালতে সোপর্দ করে জীবননগর থানা পুলিশ। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।