বুড়িমারী স্থলবন্দর বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার খলিলুর রহমান শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকা করতে বিএসএফের বাধা, ভরসা তাই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু
আটক জালাল উদ্দিন (২৭) লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি বুড়িমারী থেকে চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরে পণ্য পরিবহনের ট্রাকের বদলি চালক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
বুড়িমারী বিজিবি, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স টিএস এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে বাংলাদেশি প্রাণ কোম্পানির পণ্য বোঝাই একটি ট্রাক খালাস শেষে বুড়িমারী স্থলবন্দরে ফিরছিল। এ সময় কোচবিহার-১৪৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংড়াবান্ধা চেকপোস্টের সদস্যরা গাড়ি তল্লাশি করে ভারতীয় কিছু ওষুধ পায়। এ জন্য ট্রাকসহ চালককে আটক করে তারা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে গত বছর ১২০ কোটি টাকার মাদক, অস্ত্র ও সোনা জব্দ
বিজয় দিবসে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার
বিষয়টির এখনও সমাধান না হওয়ায় উভয় স্থলবন্দরে চালকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার খলিলুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিএসএফ দাবি করে, ভারতীয় কিছু ওষুধসহ ট্রাক ও চালককে তারা আটক করে কাস্টমসে হস্তান্তর করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আরও সক্রিয় হতে হবে: বিজিবিকে প্রধানমন্ত্রী
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে কষ্টিপাথরের ১১ মূর্তি দিল বিজিবি
শনিবার ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর ট্রাকসহ চালককে ছাড়ার বিষয়টি নির্ভর করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে, ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার মমিনপাড়া সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের এক পুলিশ সদস্যকে আটকের পর বিএসএফের কাছে সোপর্দ করে দেশটির সীমান্তবর্তী জনগণ। নীলফামারী সীমান্তের ৪৫৩ মেইন পিলার এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকে তাকে বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেয়া হয়।
পুলিশ সদস্য ওমর ফারুক পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতে নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামে খালি সেনাক্যাম্পে পুলিশ, বিজিবি মোতায়েন হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিজিবিকে ‘ত্রিমাত্রিক বাহিনী’ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, রাত ৯টার দিকে পুলিশ সদস্য ওমর ফারুকসহ তিনজন মমিনপাড়া সীমান্তের কাছে যান। এ সময় মমিনপাড়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতের সিপাইপাড়া মহল্লার ভারতীয় নাগরিকরা তাদের আটক করেন। পরে সেখান থেকে দু’জন পালিয়ে আসলেও ওমর ফারুককে আটক করে ভারতের চানাকিয়া বিএসএফ সদস্যদের হাতে তুলে দেন স্থানীয় ভারতীয়রা।