২০১২ সালের বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে (৩৫) গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার তাকে পঞ্চগড় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে আদালতে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলী আদালত-৫ এর বিচারক আলরাম কাজী তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷
এর আগে গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাতেই শিবগঞ্জ থানা পুলিশ পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানা পুলিশের কাছে আলাউদ্দিনকে হস্তান্তর করেন।
জানা গেছে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার ছোটদাপ গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজিৎ হত্যা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বগুড়ায় গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ‘আত্মগোপন’ করেন। পুলিশের নথিতে ‘পলাতক’ আলাউদ্দিন তাঁর স্ত্রীসহ গত ৭ জুলাই ঈদের ছুটিতে বগুড়ার মোকামতলা বন্দরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে আলাউদ্দিনের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিবগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দিবাগত রাতে আটোয়ারী থানায় আনা হয়। পরে শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার এজাহারে ৪ নম্বর আসামি ছিলেন মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। এ মামলার রায়ে আলাউদ্দিনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। এ কারণে গ্রেপ্তার আলাউদ্দিনকে আটোয়ারী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পরিবহন শ্রমিককে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ