দেশের বাজারে আলুর দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় এবার ভারত থেকে ৭৪ টন আলু আমদানি করল সরকার।
চাল, ডাল, গম, পেঁয়াজ, সজনেডাটা ও কাঁচামরিচসহ নানা পণ্যের পর ভারত থেকে প্রথমবারের মতো এবার আলু আমদানি শুরু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনটি ট্রাকে ১ হাজার ৪৮০ বস্তায় ৭৪ দশমিক ১ টন আলু ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে আসে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় আলুর চালানটি বন্দর থেকে খালাস করা সম্ভব হয়নি। তাই শনিবার (২ ডিসেম্বর) বন্দর থেকে চালানটি ছাড় করা হচ্ছে।
আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড বাংলাদেশ এবং রপ্তানিকারক পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস, ভারত।
সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ৭৭টি আবেদনের বিপরীতে সরকার ১২ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে প্রায় ৫০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি দেয়।
গত ৩০ অক্টোবর সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোনোক্রমেই আলুর কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না।
৭০ থেকে ৮০ টাকা আলুর কেজি হবে কেন?
আলু আমদানির এই সিদ্ধান্ত বাজারে প্রভাব পড়বে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, পড়বে বলেই আমরা আমদানির অনুমতি দিয়েছি।
বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলুগুলো আমদানি করা হবে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি টন আলু ১৮০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি টন আলুর শুল্ক ৬ হাজার ৬৮৯ টাকা ৫০ পয়সা। সে মোতাবেক প্রতি কেজি আলুতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা। আলু কেনা, এলসি খরচ ও শুল্কসহ প্রতি কেজি আলুতে আমদানিকারকের খরচ পড়ছে প্রায় ২৯ টাকা। ফলে বাজারে ৩০ থেকে ৩২ টাকায় সরবরাহ করা সম্ভব। ফলে দেশের বাজারে আলুর দাম অনেক কমে আসবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭৪ টন আলু বন্দরে প্রবেশ করেছে। তবে শুক্রবার ছুটি থাকার কারণে শনিবার আলুর চালানটি খালাস হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!
পূজার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক