সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ৮টি গ্রামের মানুষ চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও এগিয়ে আসেনি কেউ।
এদিকে, সেতুটি ভেঙে পড়ার কারণে পাথরডুবী ইউনিয়নের লোকজনকে উপজেলা সদরে আসতে বাড়তি প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হচ্ছে। এতে সময় এবং অর্থ দুই অপচয় হচ্ছে। যানবাহন ঢুকতে না পারায় কর্মজীবী মানুষ এবং এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: সেতু না থাকায় চরম দুর্ভোগে লালমনিরহাটের কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা সদরের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী এই সড়কটি ব্যবহার করেন বাগভান্ডার বিজিবি ক্যাম্প, ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার, খামার পত্র নবীশ, মানিককাজির কিছু অংশ, ভোটহাট গ্রাম ও পাথরডুবী ইউনিয়নের চারটি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।
এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রতিদিন চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে, তাই এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন একটি সেতু দ্রুত নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়-দেবীগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ চরমে
ভেঙেপড়া সেতুটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, পাশ্ববর্তী ওয়ার্ড মেম্বার আসাদুজ্জামান এরশাদ ব্রীজটির মাঝ বরাবর মাটি ফেলে দুইপাড়ের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়ে জনদুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করছেন।
তিনি জানান, কারো সহযোগিতায় নয় স্বপ্রনোদিত হয়ে নিজস্ব অর্থায়নেই তিনি মাটি ভরাট করে হালকা যানবাহন ও জনচলাচলের ব্যবস্থা করছেন।
এই ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, আমি গত ১৫ ডিসেম্বর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেই এই সেতুটি পুণনির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছি। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, চরম দুর্ভোগে ডিএনডিবাসী
গাইবান্ধায় কাঠের সাঁকো ভেঙে দুর্ভোগে ১৫ লাখ মানুষ
উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে সেতুটির নির্মাণের বরাদ্দের জন্য ব্যয় নিরুপণ করে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই টেন্ডার আহ্বান করে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করতে পারবো।