এর আগে গত ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার দিনে বন্দর দিয়ে মোট ৯৭১ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করে। তারপর বন্দরে পেঁয়াজবাহী কোনো ট্রাক আসেনি।
বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর ৩১ ট্রাকযোগে ৭২১ মেট্রিক টন, ২০ সেপ্টেম্বর পাঁচ ট্রাকযোগে ১০৮ মেট্রিক টন, ২১ সেপ্টেম্বর চার ট্রাকযোগে ৯৬ মেট্রিক টন ও ২২ সেপ্টম্বর তিন ট্রাকযোগে ৪৬ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে আসে।
‘কিন্তু ২৩ সেপ্টেম্বর কোনো পেঁয়াজের ট্রাক ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করেনি। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা গেটপাস নিয়ে রেখেছেন। তবে আজ ট্রাক আসবে কি না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না,’ বলেন তিনি।
এদিকে, ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে ট্রাক আটকে থাকায় ভোমরা দিয়ে আসা পেঁয়াজের অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম মঙ্গলবার বলেছিলেন, ‘ট্রাকগুলো ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আটকে থাকায় পেঁয়াজের বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।’
তিনি জানান, এখনও দুই শতাধিক পেঁয়াজবাহী ট্রাক ভারতে আটকে রয়েছে, যার কোনো ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। এর মধ্যে কিছু পেঁয়াজ ফিরে যাচ্ছে আর কিছু পেঁয়াজ সেখানে খালাস করে স্থানীয়ভাবে বিক্রি করে ফেলছেন ব্যবসায়ীরা। এসব পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকলেও তা বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না ভারত সরকার।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর এক সিদ্ধান্তে তারা জানায় শুধুমাত্র ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলসি করা পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ নিয়ে ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ করে।