দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ভোলা সদর উপজেলার কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ভোলায় এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এছাড়া প্রভাব বিস্তারের দায়ে ৩ জনকে আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২ জনের ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যালয়ের কমিটির নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষে ভাইয়ের হাতে ভাই নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর বাজার সংলগ্ন রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আনারস ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কর্মী- সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েক ককটেল বিস্ফোরণে ঘটনায় এলাকার ভোটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ-বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়ায় ভোট কেন্দ্রে আসার সময় ও বাপ্তা ইউনিয়নের চৌদ্দঘর স্কুল এলাকায় মোটরসাইকেল ও আনারস প্রতীকের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে আহত ৪ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে ভোলার চর সামাইয়া শান্তিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে। এসময় প্রভাব বিস্তারের দায়ে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ২ রাউন্ড ফাঁকাগুলি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২ জনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মিঞা বলেন, খবর পেয়ে তারা শিবপুর ছুটে আসেন। শিবপুরসহ অন্যান্য এলাকায় এখন দুই পক্ষ শান্ত রয়েছে।