মাগুরার শ্রীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে ও সন্ধ্যায় উপজেলার দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ ঘটে।
এসময় প্রায় ২০ টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় গ্রুপের রুপবান বেগম (৫০) ও চম্পা বেগম (২৫), পল্টু (৪৫), আনিচ (২৭), ফরিদ জোয়ার্দার (৩৫) সহ ১০ জন আহত হয়। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
এ সময় জিয়ারুল শেখ গ্রুপের মিলন, রিপন, শরাফত, সদর আলী, ইউনুস শেখ এবং ওয়াজেদ মেম্বর গ্রুপের রেজাউল, ছত্তারসহ উভয় পক্ষের প্রায় ২০ টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহেশপুর গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়ারুল শেখ ও ওয়াজেদ আলী মেম্বর সমর্থকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার সকালে ও সন্ধ্যায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জিয়ারুল শেখ বলেন, বিভিন্ন সময় ওয়াজেদ মেম্বরের লোকজন আমার কাছে প্রতিমাসে ভাটার জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা আমার ভাটা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, বুধবার সকালে তারা ইটভাটায় আমার ভাই জাকিরের ওপর হামলা করে ইট বিক্রির ৫০ হাজার ৭০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। হামলার পরেও তারা আমার লোকজনের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে। এর পরেই মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ওয়াজেদ আলীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজী হয়নি।
তবে ওয়াজেদ মেম্বরের ভাতিজা শরিফুল ইসলাম বলেন, জিয়ারুল শেখের লোকজন পল্টু, আনিচ ও ফরিদ জোয়ার্দারকে মারধর করে। এ সময় তারা আমাদের বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে।
শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, ঘটনার পর থেকে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।