মাগুরা সদরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্যসহ তিন জন। সোমবার রাতে উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের গাংনী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শহীদুল ইসলাম (২৫) গাংনী গ্রামের বাদশা মোল্যার ছেলে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আট গ্রামবাসীকে আটক করেছে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জব্বারুল ইসলাম জানান, সদরের কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের গাংনী ও পাটখালী গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মন্টুর ছেলে বিপ্লব হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৮
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ দিন আগে ভিলেজ পলিটিক্স নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে স্থানীয় গাবতলা মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্টের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠান নিয়ে গাংনী, পাটখালী গ্রামে সামাজিকভাবে বিভক্ত দুই পক্ষের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আব্দুর রহমান সমর্থক শহীদুল ইসলাম ও মানিক মোল্যা স্থানীয় বাজার থকে বাড়ি ফেরার পথে পাটখালী তেঁতুলতলা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপ্লব হোসেন সমর্থক গাংনী গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে আম্মানসহ একটি গ্রুপ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের দুজনকে কুপিয়ে জখম করে।
ওসি বলেন, এ সময় ঘটনাস্থলেই শহীদুল ইসলামের মৃত্যু হয়। আহত মানিক মোল্যাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে মাগুরা সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় গ্রামবাসীর হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়।
জব্বারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সামজিক বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় সদরের গাংনী গ্রামের শহীদুল ইসলাম নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় মানিক মোল্যা নামে অপর এক যুবক আহত হয়েছেন। পরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে রকিবুল ও মাছুম বিল্লাহ নামে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত তিনজনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে আট গ্রামবাসীকে আটক করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪