আরও পড়ুন: দেশে ভুট্টা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
আড়পাড়া, তালখড়ি, শতখালী, গঙ্গারামপুর, বুনাগাতী ও ধনেশ্বরগাতীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি গ্রামেই কৃষকেরা সরিষা চাষ করেছেন। এই ফসলটি কম খরচ ও স্বল্পমেয়াদী হওয়ায় চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে।
আরও পড়ুন:কৃষি নিয়ে জানতে পারেন সামাজিক মাধ্যম থেকে
চলতি মৌসুমে কোনো রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি কর্মকর্তা জানান, চলতি মৌসুমে শালিখা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এ বছর ৪ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। শুরুতে সরিষাতে পোকা-মাকড়ের আনাগোনা দেখা দিলেও মাঠ পর্যায়ে চাষিদেরকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে পরামর্শক্রমে ও কারিগরি সহযোগিতার কারণে সরিষাতে অনেকটা রোগ-বালাই মুক্ত হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। যথাসময়ে সরকারি পর্যায় থেকে প্রান্তিক ১১’শ কৃষকের মাঝে মানসম্পন্ন সরিষার বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। তবে মাঠ পর্যায়ে বেশ কিছু জমি চাষের উপযোগী না হওয়ায় কিছু কৃষক সময়মত সরিষা বপন করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: আলুর দাম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করব: কৃষিমন্ত্রী
আড়পাড়া গ্রামের কৃষক নজরুল বিশ্বাস ও তালখড়ী গ্রামের কৃষক আলমঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কিছু বীজ সরকারিভাবে পেলেও আমরা নিজেরাই বাকিটা কিনে জমিতে সরিষার চাষ করেছি। সরিষার বাম্পার ফলন হওয়াতে আমরা খুব খুশি। এ বছর দাম ভালো পেলে সরিষা চাষের প্রতি আরও আগ্রহ বেড়ে যাবে বলে তারা জানান।’
আর েপড়ুন: দেশে কাজু বাদাম চাষের সম্ভাবনা উজ্জ্বল: কৃষিমন্ত্রী
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমঙ্গীর হোসেন জানান, এ বছর শালিখার ৭টি ইউনিয়নে বিগত বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে। পাশাপাশি সরিষার ফলনও ভালো হয়েছে। যথাসময়ে জমি চাষের যোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সুযোগ বুঝে সরিষা চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে যথাযথ পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।