মঙ্গলবার লালমনিরহাট কারাগারের জেল সুপার কিশোর কুমার নাগ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লালমনিরহাটের কারারক্ষী মেহেদি ও তার স্ত্রী কয়েক মাস আগে কারাগারে যোগ দেন। মেহেদির সাথে আসামি শুভর বন্দি থাকা অবস্থায় পরিচয় হয়। এই সূত্র ধরে তাদের বিরুদ্ধে কারা অভ্যন্তরে গোপনে মাদক পাচারের সাথে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। শুভ জামিনে মুক্ত পেয়ে কারারক্ষী মেহেদির সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে। এক পর্যায়ে কারারক্ষী মেহেদির মাদক সেবন ও মাদক পাচারের ছবি ভিডিও করে। পরে গোপনে মাদক সেবনের ভিডিওটি দিয়ে ব্ল্যাক মেইল করতে থাকে। এই ভিডিও দেখিয়ে বেশ কয়েকজন প্রতি মাসে অর্থ আদায় করে আসছিল। কারারক্ষী মেহেদি এ বিষয়ে থানায় জিডি করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৪ জনের মাদকের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রবিবার ১৪ জনের স্ট্যান্ড রিলিজের অর্ডার আসে।
এদিকে, কয়েক মাস আগে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ কারারক্ষী ও গাড়ির চালককে আটক করে পুলিশ। পরে রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক মামলা দিয়ে কোর্টে সোপর্দ করা হয়। পরদিনই তারা জামিন পায়।