সোমবার রাত ৮টা থেকে আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে বলে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক গণ-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
লকডাউনের আওতাভুক্ত এলাকাগুলো হলো- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর সেওতা, পশ্চিম দাশড়া, গঙ্গাধরপট্টি, শহরের শহীদ রফিক সড়ক, গার্লস স্কুল সড়ক, গঙ্গাধরপট্টি থানা রোড, খালপাড় থেকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের আগ পর্যন্ত শহীদ সরণি ও মানিকগঞ্জ বাজার এলাকা, সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোরা ও সাটুরিয়া ইউনিয়ন এবং সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়ন ও সিংগাইর পৌরসভা।
নির্দেশনা অনুযায়ী, রেড জোন ঘোষিত এলাকার কোনো ব্যক্তি ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। এই এলাকার কেউ বাইরে কিংবা বাইরের কেউ এই এলাকায় আসা যাওয়া করতে পারবেন না। সব ধরনের শপিং মল, দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
মসজিদে নামাজের সময় ইমাম মুয়াজ্জিনসহ ৫ জন এবং জুম্মার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবেন। যথারীতি আওতামুক্ত থাকবে সাংবাদিকসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি, সরকারি ও ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানায় কর্মরত ব্যক্তি ও তাদের বহনকারী গাড়ি।
উল্লিখিত রেড জোন ঘোষিত এলাকাগুলোতে আরোপিত আইন বাস্তবায়নে তিনটি উপজেলায় গঠন করা হয়েছে ৪ সদস্যের ভিজিলেন্স টিম। সিংগাইর উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মনিরুজ্জামানকে, সাটুরিয়া উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুছাম্মৎ শাহীনা আকতার এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাদিরা আখতার। প্রতিটি টিমে সদস্য করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার-ইন-চার্জকে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ থাকবে সার্বিক দায়িত্বে।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, ‘আদেশে বর্ণিত সকল আইন কঠোরভাবে পালন করা হবে। ঘোষিত এলাকাগুলোর চারপাশে বেষ্টনীর মাধ্যমে আটকে দেয়া হবে। আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’