সেই সাথে ৬১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ২৩ লাখ মিটারেরও বেশি কারেন্ট জাল ও ৬৮৯ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
জেলা মৎস্য অফিসের জরিপ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি সাংবাদিকের জানান, মা ইলিশ সংরক্ষণে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে যমুনা তীরবর্তী পাঁচ উপজেলায় ৩৯৬টি মামলা ৩৮৬ জনের বিরুদ্ধে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বেলকুচিতে ২১০ জেলের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৪ লাখ ৮২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া, চৌহালী উপজেলায় ১৩৫ জেলের এক বছর করে কারাদণ্ড ও ৩ লাখ ৩২ হাজার মিটার জাল উদ্ধার, সদর উপজেলায় ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৩০০ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধারসহ ৩৯ জেলের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, শাজাদপুরে ৬ লাখ ৬০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার ও ২ জনের কারাদণ্ড এবং কাজিপুরে ১ লাখ ৫৮ হাজার মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জরিপ কর্মকর্তা শরীফুল উল্লেখ করেন।
ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে ১২ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০ বাস্তবায়ন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছিলেন, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে কোনোভাবেই দেশের জলসীমায় এ মাছ ধরার অবৈধ প্রচেষ্টা সফল হতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে কোনোভাবেই মা ইলিশ আহরণ বা মা ইলিশ থাকতে পারে এমন নদীতে কোনো নৌকাকে মাছ ধরতে দেয়া হবে না। নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক উপায়ে মনিটর করা হবে যেন কোনো নৌকা বা জাহাজ ইলিশ ধরতে না পারে। এমনকি বিদেশ থেকে কোনো মাছ ধরার যান্ত্রিক নৌযান আসলে সেটাকেও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আটক করা হবে।’