মোংলা বন্দর শিল্প এলাকায় দুটি এলপিজি প্ল্যান্টের মাঝখানে একটি ফেরি ঘাট ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ স্পর্শকাতর স্থাপনা দুটি জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) বৃহত্তম দু’টি বেসরকারি অপারেটর - ওমেরা এলপিজি এবং যমুনা এলপিজি মোংলা বন্দর এলাকায় তাদের প্ল্যান্টের মধ্য দিয়ে রাস্তা এবং লাউডোবা ফেরিঘাট নির্মাণের বিরোধিতা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিদেশি এলপিজি পরিবহনের জন্য তাদের প্ল্যান্টে চলাচল যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য বিকল্প স্থানে সড়ক ও ফেরি ঘাট নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
এলপিজি অপারেটররা দাবি করছে যে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (এমপিএ) ভূমি নীতি লঙ্ঘন করে সড়কটি নির্মাণ করছে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, এ ধরনের নির্মাণের ফলে মোংলা বন্দরের নৌ চলাচল এবং সড়কের দুই পাশে স্থাপিত দু‘টি প্ল্যান্টে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষও পশুর চ্যানেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বন্দরের শিল্পাঞ্চল হয়ে এ সড়ক নির্মাণ করা দেখে খুশি নন।
যমুনা ও ওমেরা এলপিজি প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে এই সড়ক নির্মাণের বিরোধিতা করে মোংলা বন্দরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে।
দাকোপ উপজেলা থেকে খুলনা পর্যন্ত স্থানীয় জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এক কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সড়ক ও ফেরিঘাট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পরে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মৌখিক অনুমতির নিয়ে আবারও নির্মাণ কাজ শুরু করে।
এদিকে, এলপিজি অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলওএবি) সভাপতি ও ওমেরা পেট্রোলিয়ামের মালিক আজম জে চৌধুরী বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মুসার সঙ্গে দেখা করে বন্দর শিল্প এলাকায় ওমেরা ও যমুনা এলপিজি প্ল্যান্টের মধ্য দিয়ে প্রস্তাবিত সড়ক ও ফেরি ঘাট নির্মাণের অনুমতি না দেয়ার জন্য চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, বাগেরহাটে বন্দর শিল্প এলাকা দিয়ে কোন স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেননি তারা।
তারা বলেন, প্রস্তাবিত সড়ক ও ফেরিঘাট নির্মাণ করা হলে বন্দরের পশুর নদী চ্যানেলের নৌ চলাচল ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে এবং সেখানকার নাব্যতা কমে যাবে।