প্রবল বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে সিরাজগঞ্জের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে জেলার বিভিন্ন স্থানে তীব্র নদী ভাঙনও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেড কোয়ার্টার) নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পাহাড়ি ঢলে ও দফায় দফায় প্রবল বৃষ্টিতে যমুনা নদীতে গত কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যেই বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে পানি উঠায় এসব এলাকার মানুষ এখন চরম বিপাকে পড়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত ও বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজি বাগানসহ বিভিন্ন ফসল। এভাবে যমুনায় পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশংকাও করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ তিস্তার ভাঙন: কুড়িগ্রামের ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়ন এবং চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুক্রবারের ভাঙনে বিলীন হয়েছে প্রায় ২০টি বাড়িঘরসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ নদীর পার থেকে তাদের ঘড়বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি, নাটুয়ারপাড়া, চরগিরিশ, মনসুরনগর, নিশ্চিন্তপুর ও তেকানী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। অবশ্য পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব স্থানে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুনঃ যমুনার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন
এদিকে বন্যা পূর্বাবাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে আরও দু-একদিন পানি বাড়তে পারে এবং এ সময়ের মধ্যে যমুনার পানি বিপৎসীমাও অতিক্রম করতে পারে।