দেবাশীষ যশোর শহরের নীলগঞ্জ তাঁতিপাড়া এলাকার নীলরতন কুণ্ডুর ছেলে। তিনি কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকার সাভার অফিসের কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট ছিলেন।
দুদকের মামলায় বৃহস্পতিবার দেবাশীষ যশোর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে, দুদকের আরেকটি মামলায় দেবাশীষের স্ত্রী লতিকা কুণ্ডুর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।লতিকা শহরের ঝুমঝুমপুর এলাকার প্রগতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা বরখাস্ত, দুদকের মামলা
সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এ আদেশ বলে দুদকের পিপি আশরাফুল আলম বিপ্লব জানান, রাজস্ব কর্মকর্তা অবৈধভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করে স্ত্রীর নামে স্থানান্তর করেছেন; যা দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। তাদের অর্জিত সম্পদের উৎস জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন ওই দম্পতি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৯ নভেম্বর দেবাশীষ কুণ্ডুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৯৯০-৯১ অর্থবছর থেকে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর পর্যন্ত তিনি ৫৯ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬০ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া ছয় লাখ ৮৫ হাজার ৮৪১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
একই দিন, দুদকে দেবাশীষের স্ত্রী লতিকা কুণ্ডুর নামে আরেকটি মামলা করা হয়। মামলায় ২০ লাখ ছয় হাজার ১৮৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও এক কোটি দশ লাখ ৪০ হাজার ৫৯৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যন ও সচিবের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পৃথক দুই মামলায় বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত লতিকা কুণ্ডুর জামিন মঞ্জুর করলেও তার স্বামী দেবাশীষ কুণ্ডুর আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।