যশোরে শিরিনা বেগম (২৮) নামে এক সন্তানের জননীর শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদরের আরবপুর এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরের এই ঘটনায় নিহতের স্বামী জুয়েল পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ বলছে, গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনায় দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। তবে, যেহেতু এটি স্পর্শকাতর ঘটনা, সে কারণে পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে।
নিহতের ছোট ভাই সোহেল রানা অভিযোগ করেন, যৌতুকের টাকার কারণে তার দুলাভাই বোনের শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে তার বোনকে নিজবাড়িতে ঘরের ভেতরে আটকে রেখে গায়ে পেট্রল ঢেলে দেয়। এরপর আগুন দিলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে এবং যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে৷
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনায় রেফার করেন সংশ্লিষ্ট ডাক্তাররা। সেখান থেকে শিরিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়। খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথেই শিরিনা রাত ১০টার দিকে মারা যান।
সোহেল রানা জানান, শিরিনার লাশ বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
পেট্রল পাম্পের কর্মচারী জুয়েল ইতোপূর্বে আরও একটি বিয়ে করেন। সেই স্ত্রীকেও সে হত্যা করেছে বলে সোহেল রানা দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্বামীর করা যৌতুকের মামলায় স্ত্রী কারাগারে
জুয়েলের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রান্নাঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের করে গৃহবধূ নিজেই শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনা জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়ে দুই ধরনের বক্তব্য পাচ্ছি। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
জানতে চাইলে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আহম্মেদ তারেক শামস বলেন, দাহ্য পদার্থে ওই নারীর শরীরের অধিকাংশ জায়গা পুড়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা রেফার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় যৌতুক নিয়ে বিরোধে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বশুর খুন