আরও পড়ুন: নড়াইলে তারেক রহমানের ২ বছরের কারাদণ্ড
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নিলুফার শিরিন বৃহস্পতিবার সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত এসআই আজম মাহমুদ যশোরের মণিরামপুরের কাশিমপুর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে। মামলার চার্জশিট হওয়ার পর তিনি বরখাস্ত হয়ে কুষ্টিয়া পুলিশলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন:ঘুষ দেয়ার চেষ্টার অপরাধে চাঁপাইনবাবগঞ্জে একজনকে কারাদণ্ড
পিপি-২ মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানান, এ মামলায় আজম মাহমুদের বিরুদ্ধে তার মা ফিরোজা বেগম সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি আদালতে পুত্রবধূর ওপর গা শিউরে ওঠা নির্যাতনের বর্ণনা দেন।
আরও পড়ুন:ভেজাল দুধ তৈরি, মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সালে আসামি আজম মাহমুদ পুলিশে কর্মরত থাকা অবস্থায় ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর গ্রামের একরাম আলীর মেয়ে রাবেয়া আক্তারকে বিয়ে করেন। এএসআই পদে পদোন্নতির সময় আজম মাহমুদকে দেড়লাখ টাকা ও এসআই পদে পদোন্নতির সময় পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছিল স্ত্রী রাবেয়ার পরিবার। তাদের দু’টি সন্তান রয়েছে। আজম ফের পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করতে থাকেন। টাকা না পেয়ে ভরণপোষণও বন্ধ করে দেন। এছাড়া, চাকরির সুবাদে আজমের যেখানে পোস্টিং হয় সেখানে অন্য মেয়েদের সাথে সম্পর্ক ও বিয়ে করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন:নাচোলে সরকারি চালসহ আটক ব্যক্তির কারাদণ্ড
সবশেষ আজম মাহমুদ বাগেরহাটে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। বাগেরহাটের এসপি তদন্ত করে এই অভিযোগের সত্যতা পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের ২৭ জুন আজম মাহমুদ বাড়িতে এসে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন। তাতে তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে রাবেয়ার পরিবার ব্যর্থ হয়। ২০১৯ সালের ১১ জুলাই রাবেয়া আক্তার যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন।
আরও পড়ুন:রাবি ছাত্রীর পর্নোগ্রাফি মামলায় প্রকৌশলীর কারাদণ্ড