তারা হলেন- নগরীর সাগরপাড়া এলাকার পবিত্র সিংয়ের ছেলে পরিমল সিং (৬০), একই এলাকার হাসেম আলীর ছেলে মো. সাজু (৩০) ও পরিতোষ সিংয়ের ছেলে বাপ্পা সিং (২৮) এবং সিপাইপাড়া এলাকার মরহুম আব্দুর রউফ মতিনের ছেলে ইফতেখার হোসেন সুমন (৫০)।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ নম্বরে ফোন: ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক ৩
নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি কাঁচের তৈরি মদের খালি বোতল, টিউনিং মদ (মিশ্রিত মদ) তৈরির তরল পদার্থ ভর্তি একটি প্লাস্টিকের বোতল, তেঁতুলের বিচি ভর্তি একটি কাঁচের বোতল, কমলা কালারের ৫০ গ্রাম গুড়ো রং, ২৯টি টিন ও প্লাস্টিকের তৈরি কর্ক, ১১টি কর্কের নিব ও ৫০টি কর্কের প্রটেকশন, অ্যাকোহল ভর্তি দুইটি প্লাস্টিকের সাদা বোতল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ‘জেএমবি’র ৩ সদস্য আটক
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের তাৎক্ষণিক নির্দেশে এবং পরিকল্পনায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ডিবি পুলিশের সমন্বয়ে অবৈধ মদের বিরুদ্ধে আরএমপির বিভিন্ন এলাকায় সর্বাত্মক অভিযান শুরু হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে অটোরিকশা চোর চক্রের ৮ সদস্য আটক
তিনি জানান, উদ্ধারকৃত আলামতগুলোর রাসায়নিক পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, তারা অতিরিক্ত লাভের আশায় বিদেশি মদের সাথে রেক্টিফাইড স্পিরিটসহ অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে এক বোতলকে একাধিক বোতলে পরিণত করে এবং এই মদ তাদের কাছে বিক্রি করে। অসুস্থ ব্যক্তিদেরকে ধৃতদের ছবি দেখানো হলে তারাও এদেরকে উক্ত মদ বিক্রেতা হিসেবে শনাক্ত করে। এ ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২ কোটি টাকা আত্মাসাতের দায়ে এনজিও কর্মকর্তা আটক
এই অবৈধ মদের উৎস সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য কঠোর অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।