রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার দিবাগত রাতে তাদের নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ আটক করে।
ওই স্কুলছাত্রী অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায় মানিক হোসেনের ছেলে সুমন তার সাথে এর আগে শারীরিক মেলা-মেশা করেছে। সর্বশেষ শনিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীকে মোবাইল করে উপজেলার তেঁথুলিয়া গ্রাম থেকে বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে ডেকে আনে। এরপর সুমন একটু পরে আসছি বলে তার তিন বন্ধুর কাছে প্রেমিকাকে রেখে চলে যায়।
আরও পড়ুন: পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা: প্রধান আসামি নাসির গ্রেপ্তার
এদিকে সুমন ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। পরে বাঘা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পেছনে রাতভর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বাঘা উপজেলার উত্তর মিলিক গ্রামের এমদাদ আলী ছেলে তারেক (২৫)। একই গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে আরিফ হোসেন ওরুফে নাসির উদ্দিন(২৩) এবং একই উপজেলার বাজুবাঘা নতুন পাড়ার হোসেন আলী ছেলে সবুজ আলী (২১) ।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণে’ ব্যর্থ হয়ে শিশুর হাড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগ
‘ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগের পর সাংবাদিকদের যা বললেন পরীমণি
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর দিন রবিবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রী তার বাবা-মাকে সাথে করে বাঘা থানায় এসে চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। অপর একজন পলাতক রয়েছে।