কক্সবাজারের রামুতে অপহৃত চার স্কুলছাত্রের মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) পৃথক অভিযান চালিয়ে টেকনাফ শালবাগান পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নারীসহ সাত রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ছাত্ররা হলো- রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহিদুল ইসলাম। তবে মিজানুর রহমান নামে আরেক ছাত্রকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আটক ব্যক্তিদের তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- রোহিঙ্গা ক্যাম্প এইচ-৪ ব্লকের নূর সালাম (৫০), রনজন বিবি ও মোচনী পাড়ার সাদ্দাম মিয়া।
১৬ এপিবিএনের এসপি তারিকুল ইসলাম তিন স্কুলছাত্র উদ্ধার ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় টেকনাফ শালবাগান পাহাড়ি এলাকায় দুই দফা অভিযান চালিয়ে তিন ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী দলের চারজনকে আটক করেছে র্যাব। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি একজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এসপি জানান, চার স্কুলছাত্র অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে শুক্রবার ভোরে তিন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৪ স্কুলছাত্র অপহৃত, মুক্তিপণ দাবি
এর আগে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে রামু থানায় চার ছাত্র নিখোঁজের অভিযোগ করেন স্বজনরা।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের মোহাম্মদ কাছিমের ছেলে। তার সহযোগী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বাড়িও সেখানে। তারা দু’জনই বাতিঘর কটেজের কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে ইব্রাহিম চাকরি ছেড়েছেন কয়েক মাস আগে।
অভিযোগে বলা হয়, কক্সবাজারের রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় চার স্কুলছাত্রের। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ৪ জনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম। স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।