বিলাসপুর এলাকার বাসিন্দারা উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে ওই পীরের মাজার উচ্ছেদ ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেন।
স্থানীয়রা জানান, বিলাসপুর ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামের মরু মোল্লার ছেলে আশেদ চাঁন মোল্লা (৩০) এক সময় ফেরিওয়ালা, কাঁচামালের ব্যবসা ও রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে বর্তমানে তিনি পীর হয়ে নিজেকে হজরত শাহ আশেদ চাঁন ফকির পাগলা দাবি করছেন।
সেই সাথে তিনি এলাকায় তাবিজ দিয়ে মানুষের চিকিৎসা শুরু করেছেন। সাধারণ মানুষদের ঠকিয়ে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল বসতবাড়ি ও দুটি মাজার। সেখানে মাদক সেবন ও মাদকের ব্যবসা চলে বলেও দাবি স্থানীয়দের।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সোমবার আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিলাসপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার বেপারী, শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রব হাশেমী, মাওলানা সাইদুর রহমান প্রমুখ।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, আশেদ চাঁন ভণ্ড পীর সেজেছেন। তিনি স্থানীয় কিছু দুষ্টু লোকের প্ররোচনায় প্রথমে ফকিরি চিকিৎসা এবং পরে পীর সেজে প্রতারণা শুরু করেন। তার আস্তানায় মাদক সেবন ও মাদক বিক্রি হয় হরদম।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মাজারে গিয়ে আশেদ চাঁনকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বড় ভাই খোরশেদ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ইসলামবিরোধী কোনো কাজ এখানে হয় না। এলাকার এক শ্রেণির অতি উৎসাহী লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘যারা উপজেলায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন তাদের সাথে কথা বলেছি। মাজার এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আশেদ চাঁন ফকির এলাকা থেকে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ যেই করুক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’