লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে রিয়াজ হোসেন নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে দুজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শনিবার র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান।
আটক কাউছার যাদৈয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে এবং রাকিব তেয়াওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বিনোদধর্মপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, শুক্রবার ভোরে মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া এলাকা থেকে কাউছারকে এবং চট্টগ্রাম শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাকিবকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে জুয়ার আসরে পুলিশের হানা, আটক ৫৬
এতে আরও জানানো হয়, কাউছার ও ভুক্তভোগী রিয়াজ একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো। এ সুবাদে কাউছারের বাসায় রিয়াজের যাতায়াত ছিল। এক পর্যায়ে কাউছারের স্ত্রীর সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। কাউছার সন্দেহ করে তার স্ত্রীর সঙ্গে রিয়াজের পরকিয়া সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি কাউছার অভিযুক্ত রাকিবকে জানায়। এসময় তারা দুজন রিয়াজকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
গত ১৪ ফেব্রয়ারি রাতে মান্দারী বাজার এলাকার উম্মে সালমা ভবনে ভাড়া বাসায় কাউছার মোবাইলফোনে কল করে রিয়াজকে ডেকে আনে। দুই মাস আগে তারা দুইজন ওই বাসা ভাড়া নেয়। এরপর চেতনানাশক ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে রিয়াজকে অচেতন করে। পরে হাত-পা বেঁধে মাথায় আঘাত ও নাকে-মুখে গামছা পেঁছিয়ে তাকে হত্যা করে অভিযুক্তরা। এরপরই তারা দরজার বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে রিয়াজের মা খুরশিদা বেগম তার ছেলে অপহরণের বিষয়ে জানিয়ে র্যাবের কাছে সহযোগীতা চান। তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথমে রিয়াজের সহকর্মী কাউছারকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সহযোগী রাকিবের অবস্থান নিশ্চিত করে।
পরে র্যাব-৭ ও র্যাব ১১ এর যৌথ অভিযানে চট্টগ্রাম শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাকিবকে আটক করা হয়।
তাদেরকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক