ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি অভিযান ১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩০ জনের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে বরগুনা সার্কিট হাউজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলার পোটকাখালী কবরস্থানে নিহতদের দাফনের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে, বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতাল থেকে মোট ৩৭ জনের মরদেহ বুঝে নেয় বরগুনা জেলা প্রশাসন। তার মধ্যে সাত জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, এখনো পর্যন্ত কতজন নিখোঁজের নির্দিষ্ট তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে নেই, তবে তথ্য সংগ্রহের জন্য সেল গঠন করা হয়েছে। আমরা স্বজনদের আহ্বান জানিয়েছি নিখোঁজের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে। দু’একদিনের মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য জানা যাবে। যদি কেউ ডিএনএ নমুনা নিয়ে আসেন তবে শনাক্ত করে তাকে পরবরর্তীতে কবর শনাক্ত করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩৩ মরদেহ বরগুনায় পৌঁছেছে
এর আগে রাত পৌনে ১২টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছায় লাশবাহি গাড়ি। সারিসারি মৃতদেহ নামিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যান স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন রেডক্রিসেন্ট বরগুনার সদস্যরা। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন অপেক্ষমান স্বজনরা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে যাত্রী নিয়ে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও একজন মারা যান। এতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর