হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের দায়েরকৃত রিটের (রিট নং-৬৩০৬/১০) প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী লালদিয়ার চর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:কুমিল্লায় উচ্ছেদ অভিযানে ৮ জনকে জরিমানা
গত ডিসেম্বরে পাঠানো হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী দুই মাসের মধ্যে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে ৯ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা রয়েছে। সে প্রেক্ষিতে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:বুড়িগঙ্গা তীরে হাজী সেলিমের পেট্রল পাম্পসহ ২৬৫ স্থাপনা উচ্ছেদ
উচ্ছেদকৃত জায়গায় কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করার জন্য ইয়ার্ড তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম বন্দর বিভাগের সহকারী ম্যানেজার (এস্টেট) মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন বলেন, পতেঙ্গার লালদিয়ার চরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনায় ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অবহিত করে হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে অবৈধ দখলদারদের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:বাদামতলী এলাকায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
তিনি আরও বলেন, এ উচ্ছেদ অভিযানে জেলা প্রশাসন থেকে পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বন্দর থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেট অংশগ্রহণ করার জন্য রিকিউজিশন দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ অভিযানে ১০০ র্যাব সদস্য, ৫০ মহিলা পুলিশসহ ২০০ পুলিশ সদস্য, ১০০ আনসার সদস্যদের জন্যও সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে রিকিউজিশন দেয়া হয়েছে।
শিহাব উদ্দিন জানান, গত ৮ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ২ মাসের মধ্যে কর্ণফুলী নদী তীরের বন্দর এলাকা লালদিয়ার চর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আদেশ দেন। চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, ডিসি, র্যাব কমান্ডার, সিডিএ চেয়ারম্যান ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুরাদ রেজা।
আরও পড়ুন:ধানমন্ডিতে পুলিশ বক্সসহ ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, জরিমানা
সূত্র জানায়, জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের সময়ে এই জমি বিএস জরিপে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নামে লিপিবদ্ধ করা হয়। ২০০৫ সালের ১২ জুলাই প্রথমবার লালদিয়ার চরের ৫০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। এর আগে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১৯ সালের ২২ জুলাই ২৫০ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ২০ একর জমি দখলমুক্ত করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:মাগুরায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান
এদিকে লালদিয়ার চর পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আলমগীর হাসান বলেন, ‘স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে আমরা বৈঠক করেছি। নিষ্ফল বৈঠক হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ আদালতের রায় ও নির্দেশনা থাকায় উচ্ছেদ অভিযান সোমবার পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে লালদিয়ার চরে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোকে খাসজমিতে পুনর্বাসনের জোর দাবি জানিয়েছি।’