লালমনিরহাটে কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় দেখা মিলছে না সূর্যের।
কনকনে ঠান্ডা আর সঙ্গে হিমেল বাতাসের দাপটে উত্তরের সীমান্তবর্তী লালমনিরহাটের জনজীবন বিপর্যস্ত। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম।
নিদারুণ কষ্টে রয়েছেন তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী, চরাঞ্চল ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। উত্তরের এ জেলা হিমালয় পর্বতের কাছে হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বিপর্যস্ত খুলনাঞ্চলের জনজীবন
সন্ধ্যায় পর থেকেই বৃষ্টি মতো টপ টপ করে কুয়াশা পড়ছে। দুপুর হলেও বইছে হিমেল হাওয়া। ফলে ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্রদের সীমাহীন কষ্টে দিন কাটছে।
এদিকে শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি, কাশি ও হাঁপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। শ্রমজীবীরা কাজে যোগ না দিতে পারায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, চরাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে কনকনে শৈত্যপ্রবাহ, একই সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তর জনপদ।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা-শীতে কাবু চাঁদপুর, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলোকে দুপুর পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। হিমেল হাওয়া, তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে সাধারণ মানুষের জীবন যাপন একরকম অচল হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাটের তিস্তার চর কাশিয়াবাড়ী এলাকার জামাল উদ্দিন জানান, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, প্রতিদিন কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস হচ্ছে। এর আগে কয়েকদিন ঠান্ডা একটু কম ছিল আমরা কাজে যেতে পেরেছি। তবে গত মঙ্গলবার থেকে প্রচুর বাতাস আর কুয়াশা পড়ছে। তাই আমরা কাজে যোগ দিতে পারছি না।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে জেঁকে বসছে শীত, দুর্ভোগে পদ্মা পাড়ের মানুষ
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার সকাল ৮টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় জানান, ঘন কুয়াশা তীব্র শীতের কারণে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগী সংখ্যা বেড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে জেকে বসেছে শীত, বিক্রি বেড়েছে হকার্স মার্কেটে
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে। আগামী দিনগুলোতে আমরা আরও শীতবস্ত্র বিতরণ করব।