বনবিভাগের জেলা বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, হাতিটি একটি মাদি (নারী) হাতি। এটি চার ফুট লেজসহ লম্বায় ১৪ ফুট। বয়স আনুমানিক ৬০-৭০ বছরের মতো হবে।
মৃত হাতিটির পেটের একটি ছিদ্র রয়েছে। যা দেখতে গুলির ছিদ্রের মতো মনে হয় বলে স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে ধারণা করলেও নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সুরতহাল দেখে বয়সজনিত কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, মৃত হাতির পেটের ওই ছিদ্রটিকে ‘সিস্ট’ বা স্বাভাবিক পুরাতন ক্ষতের কারণে ছিদ্র বলে মন্তব্য করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে হাতিটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার দিবাগত গভীর রাতে একটি মাদী বয়স্ক বন্যহাতি অসুস্থ অবস্থায় চলতে গিয়ে কাটাবাড়ি এলাকার জনক আব্দুস সাত্তারের বাগান সংলগ্ন এলাকায় পড়ে মরে থাকে। ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা হাতিটির মরদেহ দেখতে পেয়ে বন বিভাগকে খবর দেয়। পরে বন বিভাগের লোকজন হাতিটির ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় প্রাণী সম্পদ বিভাগকে খবর পাঠায়।
বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, মৃত বন্যহাতিটির ময়নাতদন্ত শেষে ঘটনাস্থলের পাশেই গর্ত পুতে রাখা হবে।