শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় পিকআপ ভ্যানে থাকা শেরপুরের একই পরিবারের ৩ জন নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছে।
রবিবার রাত ১১টার দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হতাহতরা সবাই শেরপুর জেলা সদরের বাঘেরচর গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন, ওই গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী আমানুল্লাহ আমানু (২৮), তার বড় বোন নাজমা আক্তার (৩৬) ও নাজমার মেয়ে লালমনি (৭)। গুরুতর আহত অবস্থায় নিহত আমানুর চাচাতো ভাই আকরাম হোসেনকে (৩২) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঘাইছড়িতে চাঁদের গাড়ি উল্টে নিহত ১, আহত ২
১৭ মে সোমবার দুপুরে হতাহতদের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নিহত আমানুল্লাহর চাচাতো ভাই ফারুক হোসেন বলেন, ১৬ দিন আগে আমাদের জ্যাঠা সেকান্দর আলী (আমানুল্লাহর বাবা) মারা গেছেন। এখন দুই জ্যাঠাতো ভাই-বোন, ভাগ্নি মারা গেলো। আমরা এ শোক কীভাবে সইবো।
তিনি জানান, আমানুল্লাহ ঢাকার মীরপুর এলাকার বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করতো। তার বোন নাজমা তাদের সাথে থেকে বাসাবাড়িতে কাজ করতেন। ঈদ শেষে রবিবার সন্ধ্যার পর কামারেরচর বাজার থেকে বেগুন ভর্তি পিকআপ ভাড়া নিয়ে ঢাকায় রওনা দেয়। ওই ট্রাকে তার বোন নাজমা ও ভাগ্নি লালমনি বনুয়ার চর থেকে এবং আরেক চাচাতো ভাই আকরামও একসাথে যায়। আমানুল্লাহ, নাজমা ও লালমনি পিকআপের ভেতরে ড্রাইভারের পাশে বসে ছিলো, আর আকরাম ছিলো বেগুনের ওপরে।
আরও পড়ুন: খুলনা-যশোর মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
ত্রিশালে একটি বালু বোঝাই ট্রাককে তাদের পিকআপটি সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ভেতরে থাকা ৩ জন নিহত হয় এবং বেগুনের ওপর থেকে ছিটকে পড়ে আক্রাম গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত এগারোটার দিকে ত্রিশাল থানার পুলিশের নিকট থেকে আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাটি জানতে পারি।
ত্রিশাল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো: তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বেগুনবোঝাই পিকআপটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে রায়মনি এলাকায় অজ্ঞাত একটি গাড়ি পিকআপটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপে থাকা তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর নিহতদের লাশ পরিবারের কাঝে হস্তান্তর করা হবে।’