সিলেটের সকল পর্যটন স্পট আগামী দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে। দ্বিতীয় ধাপে করোনার সংক্রমণ রোধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেট রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সিলেট রিজিওনের সব হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও পর্যটন স্পট আগামী দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে। করোনার সংক্রমণ রোধে সকলকে মাক্স পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসচাপায় মা-মেয়েসহ নিহত ৩
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দেশের সকল পর্যটন স্পট ও বিনোদন কেন্দ্র দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ সিলেটের সকল পর্যটন স্পট বন্ধের ঘোষণা দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। ছয় মাস পর গত ৯ সেপ্টেম্বর ২৫ শর্তে এসব পর্যটন স্পট ও রিসোর্ট সেন্টার খোলার অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু, কোনো পর্যটন কেন্দ্রই এসব নির্দেশনা পালন করেনি। এ অবস্থায় ফের সিলেটের পর্যটন স্পটসমূহ বন্ধের ঘোষণা এলো।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘কোয়ারেন্টাইন’ ভঙ্গ করায় ২ প্রবাসীকে ৭ দিনের কারাদণ্ড
করোনা পরিস্থিতি
বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৫৩৫৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৫৮ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা দেশে করোনা শনাক্তের পর একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ১১ হাজার ২৯৫ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আরও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৪২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৪টি পরীক্ষাগারে ২৬ হাজার ৬৭১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২৬ হাজার ৯৩১টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯.৯০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এর আগে মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ১৮.৯৪ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ২১৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩৯৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমকি ৭৩ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।