চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে যাত্রী বোঝাই প্রমোদতরী ‘এমভি বে ওয়ান’ সাগরের মাঝখানে আগুন লাগার ঘটনার ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌ বাণিজ্য দপ্তর।
নৌ বাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ও রেজিস্ট্রার অব বাংলাদেশ শিপসের ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহমেদ শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চত করেন। তিনি বলেন, নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন শেখ মো. জালাল উদ্দিন গাজীকে প্রধান করে শনিবার এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন ইঞ্জিনিয়ার ও শিপ সার্ভেয়ার রফিকুল আলম ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ফিল্ড ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ হোসাইন।
আরও পড়ুন: মধ্য সাগরে আটকে পড়ে জাহাজটি চট্টগ্রামে ফিরেছে
গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বলেন, সার্ভে শেষে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। দুর্ঘটনার কারণ, দুর্ঘটনার সময়, জাহাজ কর্তৃপক্ষের দায়-দায়িত্ব ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করে সুপারিশ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমভি বে ওয়ান সিঙ্গাপুর থেকে চার্টার নেয়া। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হয় না। চার্টার দেশই এটি দিয়ে থাকে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ডিজি শিপিং কর্তৃপক্ষ কেবল অনুমোদন দিয়ে থাকে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বিলাসবহুল জাহাজ এমভি বে ওয়ান ক্রুজ। প্রায় দুই ঘন্টার মাথায় সাগরের মাঝে গিয়ে ১২টার দিকে জাহাজটির ইঞ্জিন রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকলে পুরো জাহাজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জাহাজের ক্রুরা জানায়, ইঞ্জিনে আগুন লাগার কারণে এ ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরে আধঘন্টার মাথায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরদিন শুক্রবার দুপুরে বন্দরের কান্ডারী-১২ এর সাহায্যে যাত্রীসহ জাহাজটি পতেঙ্গায় ফিরিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন: ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া: ৮০০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ মাঝ সাগরে নোঙর