স্থানীয়রা জানায়, আগে থেকেই বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। প্রবল জোয়ারের চাপে মঙ্গলবার মধ্যরাতে হঠাৎ করেই আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া গ্রামের ৭/১ পোল্ডার সংলগ্ন এলাকায় প্রায় একশ ফুট বেঁড়িবাধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে কুড়িকাউনিয়া, শ্রীপুর ও বৃষ্টিনন্দন গ্রামের প্রায় এক হাজার বিঘা মৎস্যঘের ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়ে শতাধিক মানুষ।
ইতোমধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রায় সহস্রাধিক মানুষ স্বেচ্ছায় বেড়িবাঁধটি সংস্কার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি সংস্কার করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে।
এ ব্যাপারে প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলাতির কারণেই এই ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ প্রতিবারই ভেঙে যায়। বারবার বলার পরেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝুঁকিপূর্ণ বাধ সংস্কারে তেমন কোনো উদ্যোগ নেননি।
তিনি আরও জানান, তিনটি গ্রামের প্রায় এক হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবার।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জানান, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বেশ কিছু বালুর বস্তার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।