সাতক্ষীরায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার পশু। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসব পশু প্রস্তুত করেছেন সাতক্ষীরার খামারিরা।
জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোরবানির গরু পাঠানো যাবে অন্য জেলায়।
এছাড়া এ বছর ভারত থেকে গরু না আসায় খামারিরা বেশ খুশি। তবে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে আশানুরুপ লাভ করতে না পারার আশঙ্কা খামারিদের।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কোরবানিতে ৮,৬০৬ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে: প্রাণিসম্পদ বিভাগ
সাতক্ষীরা প্রাণীসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এবছর ৯ হাজার ৯২৬ জন খামারি কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত করেছেন। জেলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮ টি গরু বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত।
আর কোরবানির চাহিদা রয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। অর্থাৎ ৩৪ হাজার ৫৬০টি গরু অতিরিক্ত থেকে যাবে।
যা পাশ্ববর্তী জেলায় কোরবানির জন্য পাঠানো যাবে।
এদিকে, অন্যবারের তুলনায় এবার লাভ কম হবার আশঙ্কা করছেন খামারিরা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মথুরাপুর এলাকার খামারি মজনুর রহমান বলেন, গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। আমরা যারা শহরাঞ্চলে গরু পালন করি তারা পুরোটাই বাজার থেকে কেনা খাবারের ওপর নির্ভরশীল।
তিনি আরও বলেন, যার ফলে একটি গরু পালন করতে যে খরচ হয় তা বাদ দিয়ে সামান্য লভ্যাংশ থাকছে।
সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী কুশখারী গ্রামের খামারি অজিয়র রহমান বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু সীমান্ত দিয়ে না আসায় আশার আলো দেখছেন গরুর খামারিরা।
তিনি বলেন, অন্যান্যবছর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসার কারণে দেশি খামারীর মালিকরা গরুর ভালো দাম পেত না।
এবার ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে তার আশা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ বলেন, সাতক্ষীরায় কোরবানির গরুর চাহিদা ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮ টি। আর কোরবানির চাহিদা রয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। প্রায় ৩৫ হাজার গরু অতিরিক্ত থেকে যাবে। যা পার্শ্ববর্তী জেলায় কোরবানির জন্য পাঠানো যাবে।
তিনি আরও বলেন, গো-খাদ্যের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। অন্যান্য জেলার মতো সাতক্ষীরাতেও ‘নেপিয়ার ঘাস’ নামে একপ্রকার ঘাস বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়েছেন তারা। এতে কিছুটা হলেও খামারিরা উপকৃত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের কোরবানির হাট কাঁপাবে যুবরাজ, রাজাবাবু ও কালোমানিক