সাতক্ষীরার তালায় ধানের বস্তাভর্তি ট্রাক উল্টে দুই শ্রমিক নিহত ও কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের কুমিরা মহিলা কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা শ্রমিকেরা হলেন- জেলার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের মন্টু হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন (৩৫) ও একই উপজেলার জয়নাগর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আবুল হোসেন (৪৬)।
আহতরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী ফরিদা খাতুন, একই গ্রামের আনারুল মোড়লের ছেলে আরাফাত হুসাইন মিঠু, একই গ্রামের আব্দুর জব্বারের ছেলে শ্রমিক সর্দার এশার আলীসহ ১২ জন।
আহত শ্রমিক তাপশ কুমার দাশ জানান, তারা ২৪ জন শ্রমিক সাতক্ষীরা থেকে ধান কাটার জন্য শরিয়তপুর গিয়েছিলেন। মজুরি হিসাবে পাওয়া ধান নিয়ে সোমবার দিন রাতে একটি পিকআপ ভাড়া করে তারা সাতক্ষীরায় আসছিলেন। কিন্তু গাড়িটি চালাচ্ছিল পিকআপের হেলপার। আমরা নিষেধ করার পরও তারা গুরুত্ব দেয়নি। পথিমধ্যে ভোর পৌনে ৫টার দিকে পাটকেলঘাটা থানার সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের কুমিরা বাজারের কাছে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে পিকআপটি উল্টে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে বাসের সুপারভাইজার নিহত, আহত ১৫
এতে ১২ জনের মত শ্রমিক কমবেশি আহত হই এ সময় দুইজন মারা যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে আমাদেরকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সাতক্ষীরা-খুলনা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত হোসেন জানান, শ্যামনগর থেকে ২৪ জন শ্রমিক শরিয়তপুর জেলায় ধান কাটতে যায়। কাজ শেষে সোমবার সন্ধ্যায় তারা ট্রাকে করে বাড়িতে রওয়ানা দেন। মঙ্গলবার সকালে ট্রাকটি কুমিরা এলাকায় পৌছালে চালকের বেপরোয়া চালানোর কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে শ্রমিকরা গুরুতর আহত হন। ট্রাকে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন সুমন হোসেন।
পরে ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবুল হোসেন নামের আরও এক শ্রমিক। এ ঘটনায় ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত