সাতক্ষীরায় করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের আজ দ্বিতীয় দিন চলছে। তবে ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শহরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিলেও তাদের তেমন কোন কঠোরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। গ্রামের অবস্থা আরও খারাপ। গ্রামের মানুষ স্থানীয় হাটবাজারে মুখে মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করছে । কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউনের ১২তম দিনে মৃত্যু ৯, শনাক্ত ১০৭
এদিকে, সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত আরও একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এনিয়ে জেলায় ৪৮ জন করোনায় মারা গেছেন। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে ২৫০ জন মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জেলায় বর্তমানে ৩৩৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৭ জন এবং সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ২৬ জন করোনা পজেটিভ রোগী ভর্তি রয়েছে। বাকি ২৮৬ জন করোনা পজেটিভ রোগী বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলায় এ পর্যন্ত করোনা পজেটিভে ৪৮ জন মারা গেছেন। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ২৫০ জন।
আরও পড়ুন: করোনার সংক্রমণ রোধে সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি তেমন মানা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। সীমান্ত জুড়ে বিজিবি রেড এলাকার্ট জারি করছে। অভিযোগ রয়েছে রাতে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে লোক প্রবেশ করছে। ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানির সময়সীমা কমিয়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, সাতদিনব্যাপী যে লকডাউন দেয়া হয়েছে সেটিতে সবাই মিলে এক সাথে কাজ করছি। তবে সাধারণ জনগণের মধ্যে কিছুটা সচেতনার অভাব রয়েছে। আমরা দরিদ্র শ্রেণিদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করছি। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালতি হচ্ছে। বাজারগুলোতে তদারকি চলছে।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে নোয়াখালী সদরে কঠোর লকডাউন