বুধবার নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিন এ আদেশ দেন।
একই সাথে চাঁদাবাজির এক মামলায় আদালত নূর হোসেনকে খালাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের রায়ে হাইকোর্টের দুই বিচারপতির স্বাক্ষর
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমিন আহমেদ জানান, ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল নূর হোসেনসহ তার সহযোগীদের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা। কিন্তু সহযোগীরা বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের অস্ত্র জামা দিলেও নূর হোসেন তার অস্ত্রটি জমা না দিয়ে নিজের হেফাজতে রেখে দেন।
এ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ওই বছরের ৫ মে নূর হোসেনের বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালেও সেটি পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে একই বছরের ২ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগ লেভেল ক্রসিং এলাকায় দুর্ঘটনাকবলিত একটি প্রাইভেটকার থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাঘাইছড়িতে সাত খুনের ঘটনায় মামলা
এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়। সেই মামলায় আদালত তদন্ত কর্মকর্তাসহ ছয়জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে। পরে যুক্তিতর্ক শেষে আদালত মামলায় নূর হোসেনকে যাবজ্জীবন করাদণ্ড দেয়।
আজ এ মামলার রায় প্রদান শেষে একই আদালতে আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নূর হোসেন ও তার সহযোগীসহ আটজন আসামি খালাস পান।
এর আগে, সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাসিমপুর কারাগার থেকে নূর হোসেনকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির করা হয়।