গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসব চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবে ভস্মীভূত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন শনিবার থেকে পুরোপুরি চালু হয়েছে।
সকালে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন কমলাপুর স্টেশন থেকে এবং সদর আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে থেকে স্টেশনটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে স্টেশনটির পুর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হয়। এতে জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের লাঘব হয়। এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ রেলস্টেশনে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করে। এতে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়ামিন হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামিসহ জেলা আওয়ামীলীগ নেতারা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরী রেলস্টেশন সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর অনন্য ভূমিকার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি স্টেশন ভাংচুরের সাথে জড়িতদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৭ মাস পর সচল হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন
উল্লেখ্য, হামলায় সিগন্যাল সিস্টেম ধ্বংস হওয়ায় দীর্ঘ আট মাস স্টেশনটি বন্ধ থাকে। এরপর রেল মন্ত্রণালয়ের দৃঢ় হস্তক্ষেপে প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশ থেকে সিগন্যাল সিস্টেম এনে পুনঃসংযোগের মাধ্যমে শনিবার থেকে পুনরায় রেলস্টেশনটি চালু হয়েছে।
রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শোয়েব মিয়া জানান, আজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনটি আবারও ডি ক্যাটাগরি থেকে বি ক্যাটাগরিতে রূপান্তরিত হল।