জেলার বেলকুচি থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও চরচালা গ্রামের রাকিব উদ্দিনের ছেলে রিয়াদ হোসেন, একই গ্রামের সোনা উল্লাহ তালুকদারের ছেলে রুবেল হোসেন, মুকুন্দগাতী গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে নাজমুল, জিধুরী গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে মেহেদী হাসান ও আমির চাঁনের ছেলে রতন শেখ।
পড়ুন: চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক এমপি আউয়াল রিমান্ডে
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, বেলকুচি উপজেলার গাড়ামাসি নতুনপাড়া গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান শনিবার (২৪ জুলাই) রাতে মুকুন্দগাতী গ্রামের জহুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে পাওনা ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। আতিকুর রহমান মুকন্দগাতী বাজারের কাছে পৌঁছলে ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতাকর্মী মোটরসাইকেল থামিয়ে তাকে ঘিরে ফেলে কিলঘুষি মারতে থাকে এবং তার কাছে থাকা ৮৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আরও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশে লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে ছাত্রলীগ কর্মীরা পালিয়ে যান।
পড়ুন: লকডাউনেও হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি
এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করে ২৫ জুলাই আতিকুর রহমান বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
ওসি জানান, এ মামলায় সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে ৩ জনকে ও মঙ্গলবার দুপুরে দুজনকে গ্রেপ্তর করে মঙ্গলবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।