ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানান, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানবান্ধি কলেজ পাড়া মহল্লার আব্দুল মমিনকে (৬০) বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলার কারণে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান বলে তার ছোট ভাই কামাল দাবি করেন।
এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন জানান, চিকিৎসকের স্বল্পতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। অনেক চেষ্টা করেও এ সমস্যা সমাধান করা যাচ্ছে না।
এদিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রুপসাচর এলাকার আব্দুর রহিমের স্ত্রী রহিমা খাতুনকে (২২) গর্ভকালীন সমস্যা নিয়ে রবিবার রাতে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার পর রক্ত স্বল্পতায় ভুগছে এই মর্মে প্রসূতি রহিমাকে ওই দিন রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক বনশ্রী শাহা ছাড়পত্র প্রদান করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দেন।
রহিমার স্বামী অভিযোগ করেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক তার স্ত্রীর তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে ফোনে কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার স্ত্রী গাইনী ও প্রসূতি ওয়ার্ড থেকে নিচে নামিয়ে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে সিএনজি অটোরিকশায় ওঠানোর সময় সন্তান প্রসব করেন।
তিনি আরও বলেন, তার স্ত্রী যখন প্রসব বেদনায় ছটফট করছিল, তখন তিনি বারবার দায়িত্বরত চিকিৎসককে অনুরোধ করেও সেবা পাননি। পরে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে তার স্ত্রীকে সন্তান প্রসব করতে হয়েছে।
এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রমেশ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ঘটনা দুটি শুনেছি। তদন্ত কমিটি করে ওই দুটি ঘটনা তদন্ত করা হবে।’