বৃষ্টি কম হওয়ায় সিলেটে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি পানি কমছে নগরীর আশপাশ এলাকায়। টানা বৃষ্টিপাত আর উজানি ঢলে ইতোমধ্যেই সিলেটের সব কটি অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত। পানিবন্দি থেকে জীবনযাপন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। তবে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মনে আশার সঞ্চার হচ্ছে।
শনিবার (১৮ জুন) বিকাল থেকে রবিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত বৃষ্টি কম হওয়ায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় রবিবার সকালেও সিলেট নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমতে দেখা গেছে। কিছু কিছু জায়গায় পানি এক থেকে দেড় হাত কমেছে।
পানি কমায় বাসা-বাড়িতে একটু স্বস্তি ও আশার আলো খুঁজে পাচ্ছেন বন্যাকবলিত মানুষেরা। তবে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী জানান, আজ সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খুব কম পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা আমরা রেকর্ড করতে পারিনি। বৃষ্টির পরিমাণ নিম্ন পর্যায়ে থাকলে তা রেকর্ড করা সম্ভব হয় না। সোমবার থেকে আকাশে মেঘের পরিমাণ কমে আসবে। বৃষ্টিপাতও তুলনামূলক কমে যাবে। সেই সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেখুন:
পড়ুন: পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ, কুড়িগ্রামে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি
এদিকে, আগামী মঙ্গলবার থেকে দেশের বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি কমতে থাকবে এবং টানা তিনদিন কমবে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে আমরা যে বার্তা পেয়েছি সেখানে বলা হয়েছে সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকবে। মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে থাকবে এবং টানা তিনদিন কমবে।’
রবিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন জায়গায় মানুষ আটকে পড়ে আছে। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হয়েছে কিন্তু সুনামগঞ্জে পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত আছে। একই সাথে হবিগঞ্জ, মৌলভিবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।