গত ৪৮ ঘণ্টায় কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেটের কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শুক্রবার সকালে কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুশিয়ারার পানি বাড়ায় জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, ওসমানীনগর, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমা, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, কুলাউড়া, রাজনগর, জুড়ি, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে সিলেট নগরীসহ জেলার অনেক এলাকায় বন্যার পানি নেমে গেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীর পানি কমলেও কুশিয়ারা সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বাড়ছে পানি।
ভারত থেকে প্রবাহিত নদ-নদীর প্রবাহ ও মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি ও সিলেটে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলে বন্যার ভয়াল রূপ। বন্যায় ৫০ লাখ মানুষ পানিবন্দী ছিলেন।
গত চারদিন ধরে ধীরে পানি কমতে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কমলেও এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, গত তিন দিন বৃষ্টি না হলেও কুশিয়ারা অববাহিকতায় পানি বাড়ছে।
সুরমা নদীর পানি কমতে থাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ ও সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক থেকে পানি নেমেছে। শুরু হয়েছে যান চলাচল। কিন্তু, সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। কিছু উপজেলার সড়কেও পানি কমেছে।
পড়ুন: পদ্মায় প্রবল স্রোত: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় বিশুদ্ধ খাবার পানি, শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া ত্রাণসামগ্রী বিভিন্ন ওয়ার্ডে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গেছেন সানু মিয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ। শুক্রবার (২৪ জুন) সকাল ১০টা পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি। পুলিশ উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে।
সিলেট জুড়ে বন্যার্তদের এক হাজারের বেশি আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ৪৮ জনের প্রাণহানির হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ