গেল ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি কম হওয়ায় সিলেট নগরীসহ ৭ উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। শনিবার পানি বাড়লেও রবিবার থেকে কমতে শুরু হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
রবিবার (২ জুন) সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা থেকে সামান্য (১ সে.মি.) নিচে নেমেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এদিন দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ১০ দশমিক ৮০ থেকে ১ সে. মি. কমে ১০ দশমিক ৭৯ সে. মি. নিচে নেমে এসেছে। টানাবৃষ্টি না হলে পানি আরও কমবে বলে জানায় পাউবো।
সিলেট নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ার পর থেকে সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে বিভিন্নভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা: নগরীর ৪ হাজার পরিবার আক্রান্ত
সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বন্যা দেখা দেয়। তবে বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বেশির ভাগ এলাকার। তাছাড়া বন্যার ঝুঁকিতে আছে এমন সব ওয়ার্ডে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানি বাড়লে তাদের ওই আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে। সুরমা তীরবর্তী বিদ্যুৎ সাব স্টেশনগুলো রক্ষার জন্য বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়ছে।
সাজলু লস্কর বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলর ও আমাদের নিজস্ব তথ্যমতে আনুমানিক চার হাজার পরিবার বন্যাকবলিত আছে।
সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডসহ ৮টি উপজেলার বন্যাকবলিত ৬ লাখ ৮ হাজার ৩৩৫ জন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
এদিকে গেল ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের জাফলং এলাকায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যার পরিমাণ ছিল ১১৩ মিলিমিটার। তাছাড়া অন্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের মাত্রা কম ছিল বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আরও পড়ুন: ধীরগতিতে হলেও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির প্রত্যাশা