সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে কালবৈশাখী ঝড়। এতে বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে রাস্তাঘাটে পড়েছে।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১০-১৫ মিনিটের শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর-বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে এবং ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি।
আরও পড়ুন: রাখাইনে আরাকান আর্মির তাণ্ডব, বাংলাদেশে আশ্রয় নিল আরও ৩৭ বিজিপি সদস্য
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে বিশেষ করে কানাইঘাট সদর এবং ৭ নম্বর দক্ষিণ বানীগ্রাম, ৮ নম্বর ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়ন ও ৯ নম্বর রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে প্রচণ্ড ঝড়ের সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে প্রচুর গাছপালা উপড়ে পড়ে এবং ডালপালা ভেঙে যায়। পাশাপাশি শিলা বৃষ্টির কারণে ফসলেরও ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ার কারণে কানাইঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে রবিবার দুপুর থেকে গোটা উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ঝড়ে রাস্তার উপরে উপড়ে পড়া গাছপালা কানাইঘাট ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন সরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় শিলা বৃষ্টির কারণে অনেকের টিনের বাড়ি-ঘরসহ মৌসুমি ফল ও বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সারাদিন থেমে থেমে বজ্রপাত হওয়ার কারণে এবং বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়নের অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। শক্তিশালী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।