পাথর উত্তোলন করার সুযোগ না দিলে আগামী সোমবার (৩১ অক্টোবর) থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সিলেটের পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা। দাবি মানা না হলে সমগ্র সিলেট বিভাগে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি শুরুর হুমকি দিয়ে আন্দোলনে নামছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
পরিবহন শ্রমিক নেতারা জানান- সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং ও লোভাছড়া পাথর কোয়ারীগুলো থেকে স্বাধীনতা উত্তরকাল থেকে সারা দেশের পাথর সরবরাহ করা হয়ে আসছিল। প্রায় ১৫ লাখ ব্যবসায়ী-শ্রমিক ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক এ পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: সিলেটে রবিবারের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে সিলেটের পরিবহন খাত, বিশেষ করে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকদের ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অধিকাংশ ট্রাক মালিক ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে তাদের গাড়ি কিনেছেন। গত ৫ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে ট্রাক মালিকদের পণ্য পরিবহনে ভাটা পড়েছে। অনেক মালিক ঋণের কিস্তি দিতে না পেরে ইতোমধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকেই ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়েছেন চরম আর্থিক সংকটে।
পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের দাবি, পাথর উত্তোলনের নামে বিরানভূমি সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো। পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগে কোয়ারিগুলোর পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখেছে প্রশাসন; কিন্তু এতে ‘আতে ঘা’ পাথর রাজ্যের লর্ডদের। তারা গরিব শ্রমজীবীদের উস্কানি দিয়ে মাঠে রাখার পাশাপাশি চালাচ্ছেন নানামুখী তৎপরতা।
ট্রাক মালিক সমিতির নেতা ঐক্য পরিষদের আহবায়ক গোলাম হাদী ছয়ফুল বলেছেন, ‘এর আগে আমরা গত ১৬ অক্টোবর সিলেটের পাথরকোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করি। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সিলেটের পাথরকোয়ারি খুলে দেয়া না হলে ৩১ অক্টোবর থেকে সিলেট জেলায় ৪৮ ঘণ্টা এবং পর্যায়ক্রমে সিলেট বিভাগে সকল প্রকার পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
আরও পড়ুন: রংপুরে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
বিএনপির সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই খুলনায় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার