সিসিকের আইন শাখায় ২০১৯ সালে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন জমা পড়ে ২৯১টি।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, এসব তালাক আবেদনকারীর মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি। বিচ্ছেদ আবেদনকারীদের তালিকায় নতুন দম্পতি যেমন রয়েছেন তেমনি আছেন বয়স্করাও।
সিলেটে তেল ও গ্যাস পাম্পে ধর্মঘটের ডাক
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন এলাকার ভেতরে বিয়ে বিচ্ছেদে ইচ্ছুক দম্পতিকে নির্দিষ্ট ফরমে নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে সিসিকের আইন শাখায় আবেদন করতে হয়। আবেদন জমার পর নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রতি মাসে একবার করে টানা তিন দফা নোটিশ দেয় সিসিক। এরপর সিটি করপোরেশনের মেয়রের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষকে নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেই শুনানিতে সমাধানের চেষ্টা চালানো হয় এবং তাতেও কাজ না হলে বিচ্ছেদ কার্যকরের আইনি পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ।
সিলেটের ওয়েসিস হাসপাতালকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
সিসিক সূত্র আরও জানায়, ২০১৯ সালে ২৯১টি বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন জমা হলেও চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দুই হাজার ৩৩৬টি বিচ্ছেদের আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ২৩টি বিচ্ছেদের আবেদন কার্যকর হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত মার্চ মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুনানি বন্ধ ছিল। তবে অক্টোবর মাসে দুই দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানায় সিসিক।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প জানুয়ারিতে একনেকে উত্থাপন: মন্ত্রী
তালাকের আবেদনপত্রগুলোতে দেখা যায়, পারিবারিক কলহ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যৌতুক, মাদকসেবন করে নির্যাতন, প্রবাসী স্বামীর সাথে যোগাযোগহীনতা ও যৌন অক্ষমতাকে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে কারণ হিসেবে বেশি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ রয়েছে ‘পরকীয়া’ সম্পর্কের ঘটনা।
তালাক আবেদনকারীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা প্রায় ৬৫ শতাংশ বলে জানিয়েছে সিসিক কর্তৃপক্ষ।
সিলেট নগরীতে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটাচ্ছে সিসিক
এদিকে, খুলনায়ও আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা। গত ১১ বছরে সেখানে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার। এ হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ১১০টি বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) আইন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ১ হাজার ৭০৬টি বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। আর চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাসে বিচ্ছেদ হয়েছে ৩০১টি।
দ্বিতীয় মেয়াদে সিসিক মেয়রের দায়িত্ব নিলেন আরিফুল হক
পাঁচ কারণে সমাজে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা বাড়ছে বলে পর্যবেক্ষণে বেরিয়ে এসেছে। কারণগুলো হলো যৌতুক, নির্যাতন, প্রতারণা, মাদক সেবন, পরকীয়া ও সন্দেহ।
কেসিসিতে জমা পড়া তালাকের তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে তালাক দেয়া পুরুষের সংখ্যা ৩৫ শতাংশ আর নারীর সংখ্যা ৬৫ শতাংশ।