তিনি ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও), জরুরি বিভাগ, আন্তবিভাগ এবং ল্যাব টেকনিশিয়ানের কাজও করছেন।
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. সাইদুর রহমানের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে আরএমওয়ের দায়িত্ব ছাড়া জরুরি বিভাগে রোগীদের সেবা দেয়া, আন্তবিভাগে ভর্তিকৃত রোগীদের চিকিৎসা সেবা এবং ডা. হয়েও ল্যাব টেকনিশিয়ানদের কাজ করতে হচ্ছে তাকে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক দিকে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সম্পর্কে সবার খুব বেশি ধারণা ছিল না। আবার ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনিশিয়ানদের অনেকেই বৃদ্ধ এবং ডায়াবেটিস থাকায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করতে যাওয়া ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে চীনের উহান ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা ইউটিউবে ভিডিও দেখে শিখে নেন ডা. সনি। নেমে পড়েন সন্দেহভাজন ব্যক্তির নমুনা অর্থাৎ মুখের লালা ও নাকের সোয়াব সংগ্রহে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহ করে ছাতকের সুধীজনের কাছে প্রশংসিত হন তিনি। এছাড়া রোগীদের সংখ্যা, বর্তমান অবস্থা নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদেরও নিয়মিত ব্রিফিং দিতে হয় তাকে।
এ ব্যাপারে ডা. তোফায়েল আহমদ সনি বলেন, চারটি বিভাগে কাজ করা কিছুটা কষ্টের হলেও দেশের এই ক্রান্তিকালে মানুষের সেবা করতে পেরে মানসিকভাবে অনেকটা প্রশান্তি পাচ্ছি।
দায়িত্বপালনে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সম্পর্কে তিনি বলেন, একজন চিকিৎসকের কখনও রোগকে ভয় পাওয়া উচিত নয়। সব কিছু জেনে বুঝে আমরা এই পেশায় এসেছি।